চিরতরে ঘুমিয়ে গেলেন এশিয়ার দীর্ঘ মানব কক্সবাজারের জিন্নাত

মহিউদ্দিন মাহী ◑

এশিয়ার একমাত্র ‘লম্বা মানব’ কক্সবাজারের রামুর জিন্নাত আলীর নামাজে জানাযা শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রামু উপজেলার থোয়াইংগাকাটা বড় কবরস্থানে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ওই কবরস্থানেই দাফন করা হয় তাকে। যদিও বিশ্বের এই লম্বা মানুষের জানাযায় বেশি মানুষের সমাগম হতে দেয়া হয়নি।

চলমান করোনাভাইরাসের কারণে পুরো কক্সবাজার জেলা লকডাউন থাকায় ওই এলাকাতে মানুষ ঢুকতে দেয়া হয়নি। গর্জনিয়া ইউনিয়নের অধিবাসীরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে জানাযায় বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হতে পারেননি।

সূত্র মতে, গর্জনিয়ার বড়বিল এলাকার তার নিজ বাড়িতে থেকে জানাযার জন্য একটি বাঁশের খাটিয়া নিয়ে তার মৃতদেহ কাধে নিয়ে আসেন কক্সবাজার সদর-রামুর আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। ওই সময় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা জিন্নাত আলীর জানাযায় অংশ নেন।

বিশ্বের সবচেয়ে এই লম্বা মানুষ জিন্নাত আলী মঙ্গলবার ভোররাতে (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি …. রাজিউন)।

গর্জনিয়ার বড়বিল গ্রামের বর্গা কৃষক আমীর হামজার (৬০) এক মেয়ে, তিন ছেলের মধ্যে জিন্নাত আলী তৃতীয়। অন্য সবার মতো স্বাভাবিক ছিল জিন্নাতের গড়ন। কিন্তু ওর বয়স যখন ১১ বছর, সে সময় থেকেই দ্রুত উচ্চতা বাড়তে থাকে। প্রতিবছর ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে আকৃতি বাড়তে থাকে তার। ১০ বছরের মধ্যে প্রায় ৪ ফুট উচ্চতা বেড়ে জিন্নাত মৃত্যুর আগপর্যন্ত ৮ ফুট ৬ ইঞ্চির দীর্ঘ মানব হিসেবে ‘রেকর্ড’ ছিলেন।